গণতান্ত্রিক সরকার নয়, দেশ আমলাতান্ত্রিক সরকার পরিচালনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
রোববার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কার্যালয়ে ছয় ব্যবসায়ীকে আর্থিক অনুদান দেয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তার অনুসারী আইযুব আলী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বক্তব্যটি লাইভে প্রচার করেন। পরে আইয়ুব ভিডিওটি অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেললেও তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে সরকারি কর্মচারীরা মনে করেন তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন। আমলাতান্ত্রিক সরকার আজকে দেশ পরিচালনা করছে। তাদের নেতৃত্বে আজকে দেশ চলছে।
‘এ দেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। আমার এ বক্তব্যে কে কী মনে করবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’
নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে চুপ করে থাকতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জেলের জন্য প্রস্তুত। আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে যেভাবে নির্যাতন করছে, আমাকে সেভাবে নির্যাতন করবে। আমাকে বলছে চুপ করে ঘরে বসে থাক।
‘কালকে ডিজিএফআই হুমকি দিছে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে বলা যাবে না, প্রশাসনের বিরুদ্ধে বলা যাবে না। এটা কোন রাষ্ট্র, কোন দেশ, এটা কি দেশ, কথা বলা যাবে না। তাহলে আপনারা আইন পাশ করে বলে দেন, এ দেশে কেউ সত্য কথা বলিও না।’
বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের সময় নিজ দল ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসা আওয়ামী লীগের এ নেতা নির্বাচন কমিশন নিয়েও কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি একটা কাজ করেন। একটা তন্ত্র পাশ করেন জাতীয় সংসদে। দেশের টাকা নষ্ট করে ভোট নেয়ার দরকার কী। ভোট নেন, চুরি করি।’
ভোট চুরির অভিযোগ তুলে কাদের মির্জা বলেন, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, ২৫ পার্সেন্ট ভোট আওয়ামী লীগের আছে। এ ২৫ পার্সেন্ট ভোট আপনারা কেন্দ্র নিয়ে আসবেন। বাকি ভোট আমরা বাক্সে ঢুকিয়ে দেব। আমি বললাম, যে এটা কোন বার। তারা বলল, ডু ইট।’
নিজের ভাই ওবায়দুল কাদের নিঃসন্তান বলে সন্তানের প্রতি মায়া নেই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলেটার ওপর হামলা হয়েছে। এটার কোনো বিচার পাইনি। ওবায়দুল কাদেরের কোনো সন্তান নাই, তাই অন্যের সন্তানের প্রতিও তার কোনো মায়া জাগে না।
‘আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, তাতেও তার কোনো মাথাব্যথা নাই। অথচ এই নেতা-কর্মীরাই তার জন্য শীতের মধ্যে স্লোগান দিয়েছে।’